বস্ত্র শিল্প বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর জেলাতে অধিকাংশ বস্ত্রকল রয়েছে। এছাড়াও এদেশের তাঁত শিল্পে উন্নতমানের সুতি, সিল্ক ও জামদানি শাড়ি তৈরি হচ্ছে।
একসময়ে এদেশে তৈরি মসলিন কাপড় জগৎ বিখ্যাত ছিল। এদেশে বস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের বস্ত্র শিল্পগুলো দেশের চাহিদা সম্পূর্ণ যেটাতে পারে না। এজন্য বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করতে হয়।
বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি করার মাধ্যমে। বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় লক্ষ লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে।
তাদের তৈরি পোশাক বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এছাড়াও চামড়াজাত দ্রব্য যেমন জুতা, বেল্ট, ব্যাগ ইত্যাদি এদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়।
কাঁচামাল হিসাবে আমরা যেমন পাট রপ্তানি করি, তেমনি পাটজাত পণ্যও রপ্তানি করি। পাট কলগুলো প্রধানত নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, খুলনার দৌলতপুরসহ নদী তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে এসব অঞ্চলের পরিবহন সুবিধা।
আমরা পাট দিয়ে ব্যাগ, কার্পেট এমনকি বস্ত্রও তৈরি করি। এসব পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে, বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
আমাদের আমদানি করা ৪টি এবং রপ্তানি করা ৪টি পণ্য সম্পর্কে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর শিক্ষকের সহায়তার আলোচনা কর।
আমদানি | রপ্তানি |
---|---|
বুনন ভুলা | ছেলেদের পোশাক |
পেট্রোলিয়াম | টি-শার্ট |
কাঁচামাল হিসেবে ফুলা | সোয়েটার |
পাম তেল | মেয়েদের পোশাক |
• উপরের কোন উপাদানগুলো পোশাক শিল্পের অংশ?
• উপরে বর্ণিত পোশাক শিল্পের কোন উপাদানগুলো আমদানি করা হয়।
• কোন পোশাকগুলো রপ্তানি হয়?
• আমরা এখনও তুলা আমদানি করি কেন?
মনে কর, কৃষি মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিল যে, দেশের সত্তর হাজার হেক্টর ভাষাক খেতাকে ভুলা খেতে পরিণত করবে। তামাক চাষের চেয়ে তুলা চাষ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা বর্ণনা করে কৃষকদের উদ্দেশে কিছু লেখ।
উপরের ছকটি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পোশাক কর্মীদের অবদান সম্পর্কে তথ্য খুঁজে বের কর।
এদেশে কোথায় কোন কৃষিপণ্য উৎপন্ন হয় তা মিলকরণের মাধ্যমে দেখাও :
ক. গম খ. চা গ. পাট ঘ. তামাক | সিলেট ও চট্রগ্রাম রংপুর বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চল ময়মনসিংহ |
আরও দেখুন...